Networking
Topology

🌐 টপলজি কী?

একটা গ্রামের কথা চিন্তা করেন, গ্রামে অনেকগুলো বাড়ি আছে (যেগুলো হলো কম্পিউটার/ডিভাইস), আর এই বাড়িগুলো একে অপরের সাথে রাস্তার (যেটা হলো ক্যাবল/ওয়্যারলেস লিঙ্ক) মাধ্যমে যুক্ত থাকে। কোনভাবে এই রাস্তাগুলো বানানো হবে, কাকে কিভাবে যুক্ত করা হবে – এই নিয়ম বা প্যাটার্নকেই বলে Topology (টপলজি)

👉 সহজভাবে: Network Topology = কম্পিউটার/ডিভাইস গুলো কিভাবে একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকবে তার নকশা।


Topology

📌 টপলজির ধরনসমূহ (Types of Network Topology)

1. Bus Topology

  • উদাহরণ ভাবো গ্রামের মাঝখানে একদম সোজা একটা রাস্তা আছে। সব বাড়ি সেই রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে যুক্ত।

  • কাজের ধরণ: একটা লম্বা কেবল (main cable বা backbone) থাকে, আর সব কম্পিউটার সেই কেবলের সাথে যুক্ত হয়।

  • ব্যবহার: পুরনো LAN (Local Area Network)।

  • সুবিধা:

    • সহজে সেটআপ করা যায়।
    • কম কেবল লাগে।
  • অসুবিধা:

    • কেবল কেটে গেলে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ।
    • বেশি ডিভাইস যুক্ত করলে সিগনাল দুর্বল হয়ে যায়।

2. Star Topology

  • উদাহরণ : গ্রামের মাঝে একটা বাজার (central hub) আছে। সব বাড়ি বাজারে আসা-যাওয়া করে।

  • কাজের ধরণ: সব কম্পিউটার একটা সেন্ট্রাল হাব/সুইচের সাথে যুক্ত।

  • ব্যবহার: অফিস, ব্যাংক, স্কুল – আধুনিক LAN সিস্টেম।

  • সুবিধা:

    • এক বাড়ি (কম্পিউটার) নষ্ট হলেও বাকিদের কোন সমস্যা হয় না।
    • সহজে মেইনটেইন করা যায়।
  • অসুবিধা:

    • বাজার (hub/switch) নষ্ট হলে পুরো গ্রাম বন্ধ।
    • বেশি তার লাগে।

3. Ring Topology

  • উদাহরণ : গ্রামের সব বাড়ি হাত ধরে এক সার্কেল করে দাঁড়িয়েছে। একে অপরকে মেসেজ হাত ঘুরে ঘুরে পৌঁছায়।

  • কাজের ধরণ: প্রতিটি কম্পিউটার দুই পাশের কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হয়ে একটা রিং (বৃত্ত) তৈরি করে।

  • ব্যবহার: টেলিফোন নেটওয়ার্ক, কিছু WAN।

  • সুবিধা:

    • প্রতিটি ডিভাইসে সমান দায়িত্ব।
    • দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার।
  • অসুবিধা:

    • এক জায়গায় সমস্যা হলে পুরো রিং বন্ধ হয়ে যায়।
    • অ্যাড/রিমুভ করা কঠিন।

4. Mesh Topology

  • উদাহরণ : গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে অন্য প্রতিটি বাড়ির দিকে রাস্তা গেছে। সবাই সরাসরি একে অপরের কাছে যেতে পারে।

  • কাজের ধরণ: প্রতিটি ডিভাইস প্রত্যেকের সাথে সরাসরি যুক্ত।

  • ব্যবহার: সামরিক নেটওয়ার্ক, জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা।

  • সুবিধা:

    • অনেক বেশি রিলায়েবল (এক রাস্তা বন্ধ হলেও অন্য রাস্তা খোলা থাকে)।
    • খুব সিকিউর।
  • অসুবিধা:

    • অনেক বেশি তার লাগে।
    • সেটআপ করা কঠিন।

5. Tree Topology

  • উদাহরণ : বড় একটা গাছের মতো – শিকড় থেকে ডাল, ডাল থেকে পাতায় ছড়িয়ে গেছে।

  • কাজের ধরণ: হায়ারারকিক্যাল স্ট্রাকচার, যেখানে বড় সার্ভার থেকে ছোট ছোট ডিভাইসগুলোতে কানেকশন যায়।

  • ব্যবহার: বড় বিশ্ববিদ্যালয়, কোম্পানি, ISP নেটওয়ার্ক।

  • সুবিধা:

    • সহজে এক্সপ্যান্ড করা যায়।
    • স্ট্রাকচার পরিষ্কার বোঝা যায়।
  • অসুবিধা:

    • মূল রুট (root) নষ্ট হলে পুরো সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত।

6. Hybrid Topology

  • উদাহরণ : ধরো গ্রামের একপাশে স্টার, একপাশে বাস, আবার অন্যপাশে রিং। মানে মিক্সড সিস্টেম।

  • কাজের ধরণ: একাধিক টপলজির কম্বিনেশন।

  • ব্যবহার: বড় বড় কর্পোরেট নেটওয়ার্ক, ডেটা সেন্টার।

  • সুবিধা:

    • ফ্লেক্সিবল এবং স্কেলেবল।
    • বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন টপলজি ব্যবহার করা যায়।
  • অসুবিধা:

    • অনেক বেশি কস্টলি।
    • ডিজাইন জটিল।

📊 টপলজির সারসংক্ষেপ টেবিল

টপলজিব্যবহারসুবিধাঅসুবিধা
Busছোট LANসস্তা, সহজকেবল কেটে গেলে সব বন্ধ
Starঅফিস, ব্যাংকনির্ভরযোগ্য, সহজ মেইনটেইনHub নষ্ট হলে সব বন্ধ
Ringটেলিফোন, WANদ্রুত, সমান দায়িত্বএক জায়গায় সমস্যা হলে সব বন্ধ
Meshমিলিটারি, জরুরিখুব নিরাপদ, ব্যাকআপ রাস্তাঅনেক তার লাগে
Treeবিশ্ববিদ্যালয়, ISPএক্সপ্যান্ডেবলRoot নষ্ট হলে ক্ষতি
Hybridডেটা সেন্টারফ্লেক্সিবল, স্কেলেবলব্যয়বহুল, জটিল